প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই হলগুলোতে হামলা

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ'র ভিপি (সহ-সভাপতি) নুরুল হক নূর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যে নির্যাতন এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত হচ্ছে সেখানে প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ রয়েছে। প্রমান থাকার পরও বিচার না করার মধ্য দিয়ে তা প্রকাশ পায়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উপর হামলা করলো ছাত্রলীগ নেতারা কিন্তু প্রক্টর তাদেরকেই ফোন করে আমাদেরকে দেখতে বলে! ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো অন্যায় করলে টুঁ শব্দ পর্যন্ত করে না এ প্রশাসন। অথচ জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের এমন ভয়াবহ নির্যাতন করার পর প্রশাসন বলে কিছু হয়নি সামান্য হৈচৈ হয়েছে। এ হচ্ছে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র।

ডাকসু ও হলে নির্যাতন নিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, 'ডাকসু এবং হলে যে হামলা সংগঠিত হয়েছে সেটা পরিকল্পিতভাবে ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে বলতে চাই অনেক হয়েছে এবার আপনাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করুন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। না হলে ছাত্রসমাজ আপনাদের ছাড়বে না।”

1 (10)

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ভিপি বলেন, 'আপনারা শুধু নিজেদের কথা ভাবলে চলবে না। নির্যাতনের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। পাবলিকের টাকা দিয়ে আমরা পড়ালেখা করছি তাদের জন্য হলেও আমাদের লড়তে হবে। আজ আমি কাল আপনিও এ নির্যাতনের শিকার হতে পারেন সুতরাং তার আগেই প্রতিবাদ করুন।

ছাত্র সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিরা ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাহাত আহমেদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক জাহিদুল আলম, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদ রায়হান তাহরাত লিওন, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, শ্রমিক নেতা বাচ্চু মিয়াসহ অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ