বিচারের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ঢাবি ছাত্রের অবস্থান

  © টিডিসি ফটো

‘শিবির সন্দেহে’ ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরী বিচারের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন। আজ বুধবার শাহবাগ থানা থেকে ছাড়া পেয়ে বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান শুরু করেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। 

ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমার উপর যে নির্যাতন হয়েছে এর বিচারের দাবিতে এখানে বসেছি। কিছু বানোয়াট স্ক্রিনশট দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। 

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে ‘শিবির সন্দেহে’ মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যোলয়ে (ঢাবি) চার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে পুলিশ। দুপুরে ওই শিক্ষার্থীদের ছাড়াতে থানায় যান ডাকসু ভিপি নুরুল হক।

থানা থেকে ছাড়া পেয়ে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের নির্মম বর্ণনা দেন। তিনি জানান, তাকে হাতুড়ি, তার ও স্যান্ডেল দিয়ে ছত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করেছে। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের পরে ওই শিক্ষার্থীদের পুলিশ হেফাজতে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ১১টার দিকে জুহুরুল হক হলের গেস্টরুম শেষে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম চলছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরীকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুমে ডাকা হয়।

সেখানে হল শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা তাদের অনুসারীদের দিয়ে মুকিমকে প্রথমে মানসিক চাপ দেয়। এতে স্বীকার না করায় তাকে লাঠি, স্টাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

পরে তার ফোনের চ্যাটলিস্ট দেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানওয়ার হোসেনকে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে তাকেও বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতারা। মারধর সহ্য করতে না পেরে তারা উভয়েই মেঝেতে বসে ও শুয়ে পড়ে।

এর কিছুক্ষণ পরে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীন ও একই বর্ষের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দীনকে ধরে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে রাত ২টা পর্যন্ত তাদের ওপর বিভিন্ন নির্যাতন করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতারা। পরে তাদেরকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ