কারণ ছাড়া ঢাবি শিক্ষকের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:৩৩ PM , আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক খানের সঙ্গে একটি গবেষণা কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)। পরবর্তীতে কোনো কারণ ছাড়াই পিআইবি চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি।
জানা যায়, পিআইবির গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগ থেকে ‘রাজনীতিতে সংবাদ-এর ভূমিকা: ১৯৫১-৭০’ শীর্ষক গবেষণা কাজে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ ঢাবির সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক খানকে আমন্ত্রণ জানায় পিআইবি। পরবর্তীতে পিআইবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। এই কাজের সহকর্মী হিসাবে তিনি তার সাথে আরো দুজনকে যুক্ত করেন। গবেষণা কাজের জন্য নতুন যুক্ত হওয়া দু’জন তাদের চাকরি ও বিসিএস পরীক্ষা বাদ দিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে আত্মনিয়োগ করে।
এই চুক্তির কারণে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক অন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার প্রায় সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার পারিশ্রমিকের আমন্ত্রণ বাতিল করেন। এরপর পিআইবি কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাদের গবেষণার কাজটি বন্ধ করে দেয়। যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেছেন।
এছাড়া একই সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের কারণে পিআইবির গবেষণা বিশেষজ্ঞ ড. কামরুল হক এবং গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক আকতার হোসেনকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ড. আবদুর রাজ্জাক খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পিআইবিতে একই বিষয়ে আরেকটি গবেষণা পরামর্শ দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বিভাগেরই সহকর্মী অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। যে গবেষণা কাজটি এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু আমার গবেষণা কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
‘পিআইবিতে একটি প্রতিক্রিয়াশীল দুষ্টচক্র সব সময় সক্রিয় আছে। এ চক্রই সব নষ্টের মূল’ অধ্যাপক রাজ্জাক যোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে পিআইবির গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক আকতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ওই সময় ডিজি আলমগীর কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ তিনি (আব্দুর রাজ্জাক খান) যে দুজন লোক পাঠিয়েছিলেন তাদের ডিজি স্যারের পছন্দ হয়নি। যার জন্য ডিজি বললেন এটা পরে করবো। তার পরে তিনি মারা গেলেন। যার জন্য কাজটি আর পরে করা হয়নি।’
তবে সার্বিক বিষয়ে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সঙ্গে একাধিকবার ফোন মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।