ডাকসুতে ঢুকে আবেগাপ্লুত নুর, হামলায় তছনছ রুমের ভিডিও

অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে নিজের কক্ষে ঢুকতে পেরেছেন ভিপি নুরুল হক। ডাকসুতে হামলার ২৩ দিন পর তাকে রুমের চাবি দেয়া হয়েছে। এর আগে হামলার ঘটনার তদন্তের জন্য চাবি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার কক্ষে প্রবেশ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ভিপি। এছাড়া কক্ষের লেফটপ, আলমারি ও জানালা ভাঙচুর অবস্থায় রয়েছে।

বেলা আড়াইটার দিকে ভিপির কক্ষের সিলগালা করা তালা খুলে দেয়া হয়। পরে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজের কক্ষে প্রবেশ করেন ভিপি নুর। এসময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

ভিপি নুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘গতকালকে তদন্ত কমিটির প্রধান কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন আমাকে ফোন দিয়ে চাবি নেওয়ার জন্য বললেন। স্যার সিনিয়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজাদ ভাইয়ের কাছে চাবি দিলে আমরা তার কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’

মঙ্গলবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ভিপি নুর বলেছিলেন, ডাকসুর প্রত্যেকটি রুমে কার্যক্রম চলছে। শুধু আমার রুমটা তালাবদ্ধ। গত ২২ দিন ধরে আমি আমার নিজের রুমে ঢুকতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, ডাকসুতে হামলার তদন্ত চলছে বলে শুনছি অনেকদিন ধরে। কিন্তু সে তদন্তের শেষ কোথায় আজো জানি না। তদন্ত কমিটি আমাকে ডেকেছিলো। আর আজকে রুমের চাবি দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু আজকে আমি যাওয়ার পরও রুম খোলার ব্যবস্থা করেনি। তা আসলে সত্যিই দুঃখজনক।

তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে সবসময় বিমাতাসুলভ আচরণ পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজকের ঘটনাও তার বিপরীত নয় বলে উল্লেখ করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলার পরেরদিনই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপর্ক্ষ। ছয় কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও নতুন করে সময় বাড়িয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।

এদিকে উচ্চ আদালতের কোনও নির্দেশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কক্ষটি এতদিন সিলগালা করে রাখতে পারে না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘ভিপি একজন ছাত্রপ্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থেও তার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তদন্তের নামে এতদিন তার কক্ষটি সিলগালা করে রাখতে পারে না। যদি আদালতের কোনও নির্দেশ থাকে, তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়।’


সর্বশেষ সংবাদ