পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার পাশে আছে: উপাচার্য

  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রীর পাশে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সোমবার ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

উপাচার্য বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়, দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা মর্মাহত। তার বাবা ভেতরে আছে, তবে আমরা সবাই তার পাশে আছি। তাকে মানসিকভাবে শক্ত ও সমর্থ করে তোলাই আমাদের প্রধান কাজ।

তিনি বলেন, প্রথমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছে। মেয়েটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা প্রয়োজন তাই করা হবে। তাকে মনে রাখতে হবে সে আমাদের মেয়ে, আশা রাখি তার মনোবল শক্ত থাকবে।

ধর্ষণের ঘটনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থানায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই মামলা করতো। এরপরেও যেটুকু সহায়তা দরকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সহায়তা দেবে।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তার অভিভাবকত্ব যেহেতু আমাদের, তাই তার সর্বোত্তম দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সবটুকু তার জন্য নিবেদিত। পুলিশ এ ঘটনায় তৎপর আছে। দ্রুততম সময়ে দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।

প্রসঙ্গত, রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি তার মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজি যোগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছান। পরে রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।


সর্বশেষ সংবাদ