ঢাবির ৫২তম সমাবর্তনে উপাচার্য

শতবর্ষকে সামনে রেখে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট উপহার দিচ্ছেন ঢাবি উপাচার্য
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট উপহার দিচ্ছেন ঢাবি উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শতবর্ষকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়নের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে সাইটেশন পাঠ করেন ও ভাষণ প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ সমার্তন অনুষ্ঠান।

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী জাপানী পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। 

উপাচার্য বলেন, যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। বহির্বিশ্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বৃত্তি হিসেবে পুনরায় ‘বঙ্গবন্ধু ওভারসিস স্কলারশিপ’ চালু করেছে। ২০২০ সালে মুজিববর্ষ, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিক উৎসবকে সামনে রেখে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য তিনি প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৭৯ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ৬ জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে ২০ হাজার ৭শ’ ৯৬ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ