ঢাবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল থেকে বহিরাগত তাড়াতে গিয়ে হল সংসদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সুজন (৩০) নামের এক বহিরাগত রক্তাক্ত হয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টা দিকে এসএম হলের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ১৫২ নং কক্ষে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হল ইউনিয়নের সমাজসেবা সম্পাদক খান মিলন হোসাইন নিরবের মদদে সুজন (৩০) নামের এক ব্যক্তি প্রায় তিন বছর যাবৎ অবৈধভাবে থাকছেন।

৮ জনের ওই কক্ষটিতে তারা দুজনই থাকেন বলে শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এসএম হলে আবাসন সংকটের কারণে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও গণরুম ও বারান্দায় থাকেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের নেতৃত্বে ওই কক্ষে উচ্ছেদ অভিযান চালান।

জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সুজনকে রুমে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তার মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা তার বিছানাপত্র রুম থেকে বের করে দেন। পরে খবর পেয়ে মিলন ছাত্রলীগের খুলনা অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের ডেকে লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হট্টগোল শুনে তাৎক্ষণিকভাবে এসএম হলের ভিপি এমএম কামাল উদ্দিন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তাহসান আহমেদ রাসেল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে হাউজ টিউটররা এসে বহিরাগত সুজনকে হল থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে এসএম হলের জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ এসএম হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অছাত্র থাকছে।এখানে থেকে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। আজ আমরা হল সংসদ ও হল ছাত্রলীগের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অছাত্র ও বহিরাগত উচ্ছেদ করে হলকে বৈধ ছাত্রদের জন্য বসবাসযোগ্য ও মাদকমুক্ত করবো। তার প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে একজনকে ধরেছি। এর নামে অভিযোগ আছে, সে সমাজসেবা সম্পাদক মিলন খানকে টাকা দিয়ে ভাড়া থাকে।’

অন্যদিকে সুজন বলেন, ‘আমার বাড়ি পটুয়াখালী কলাচিপায়। আমি বাড়িতেই থাকি। মাঝে মধ্যে এখানে মিলনের রুমে থাকি।' তবে তিনি পেশায় কী বা কেথায় পড়াশোনা করেন এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।’

এ বিষয়ে জানতে হলের ভিপি কামাল উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এটা গ্রুপের ইন্টার্নাল বিষয়। ঝামেলা ভরে কতক্ষণ কেন্দ্র করে নয়। সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোরদারকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাবির হলে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ছাত্রলীগের (ভিডিও)


সর্বশেষ সংবাদ