ঢাবিতে পড়ার দ্বার খুলল ইমরানের

  © সংগৃহীত

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার দুর্গম দ্বীপচর গাবগাছির ঢাবিতে পড়ার দ্বার খুলল ইমরান হাসানের। এর আগে ইমরানের ভর্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো বটেই, গণমাধ্যমেও বেশ অলোচনা হয়। পরে গত (৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার তাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।

এ বিষয়ে ইমরান বলেন, কখনো উপবৃত্তি, কখনো টিউশনি করে এতদূর এসে হঠাৎ থমকে যাচ্ছিল তার জীবন। জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ আর এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পায় সে। এইচএসসিতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয় সে। মেসে থাকা খাওয়ার খরচ জুটেছে ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে।

জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অসহায় ইমরানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে তিনি তাকে ডেকে নেন। তিনি বলেন, কালের কণ্ঠের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

জেলা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদা মাহমুদ বলেন, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জমি-বসতভিটা হারানো বাবা কোমর আলী মন্ডল ও মা জাহানারা বেগমের তার সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে পঞ্চম ইমরান। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে তার ভর্তি হওয়া হচ্ছিল না। ইমরান গাইবান্ধায় আসার পর জেলা প্রশাসকের ডাক আসে। তিনি বলেন, গাইবান্ধার পৌর কাউন্সিলর ও সমাজসেবী মতলুবুর রহমানও ইমরানকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আরও অনেকে যোগাযোগ করছেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ