ভিসির অনুপস্থিতিতে ডাকসুর অভিভাবক ট্রেজারার, আমি না: প্রক্টর

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) অবর্তমানে ট্রেজারার ডাকসুর অভিভাবক আমি নই- এমন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।

ডাকসুর ভিপির কক্ষে তালা লাগানোর পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টরকে ফোন দিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে কল দিয়েছিল পরে আমি বলেছি ভিসি স্যারের অনুপস্থিতিতে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ডাকসুর অভিভাবক ট্রেজারার স্যার, তার সাথে কথা বলে সমাধান করো। এটা ডাকসুর মাধ্যমে সমাধান করার কথা জানিয়ে প্রক্টর বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।

এর আগে একটি বেসরকারি চ্যানেলে ভিপির কলরেকর্ড নিয়ে করা নিউজের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের পদত্যাগ দাবিতে তার কক্ষে তালা ঝুলনো এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। যার কারণে নুর তালাবদ্ধ কক্ষে প্রবেশ করতে না পারায় প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা না পেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তালা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করেন নুর।

প্রক্টরের অসহযোগিতা কথা জানিয়ে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. রাশেদ খান বলেন, প্রক্টরকে তালা খুলে দেওয়ার জন্য তার অফিসে গেলে তিনি ভিপি ও আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করে। এমনকি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র হওয়ার পরেও আমাদের অছাত্র বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে তালাবদ্ধ কক্ষে প্রবেশের সহায়তা চাওয়ার পরেও কোন সহায়তা না পেয়ে অবশেষে ভিপি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তালা ভেঙে তার রুমে প্রবেশ করেন।

এর আগে আজ বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকসু ভবনের সামনে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ভিপি নুরের কক্ষে তালা দিয়ে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। মানববন্ধনে নুরের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেয়া হয় সংগঠনটি।

এদিকে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের একটি কণ্ঠ যে তারই তা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন ভিপি নুর। বিষয়টি পরিস্কার করতে ভিপি নুর মঙ্গলবার রাতেই ফেসবুক লাইভে আসেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তার ফোনালাপকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আংশিকভাবে প্রচার করা হয়েছে। এমন কাজ সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী।

অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘আমার একটি ফোনালাপ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার পুরোপুরি কথা না শুনিয়ে কিছু অংশ কেটে প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকদের নৈতিকতার সঙ্গে যায় না। আমি এর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদলিপি ও উকিল নোটিশ পাঠাব।’

ভিপির তালাবদ্ধ কক্ষ সম্পর্কে নুর বলেন, কক্ষের তালা ভেঙে ডুকে আমি অফিস করেছি। নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়েছি তিনি যেন এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেন। কিন্তু তার কাছ থেকে আমরা কোন ধরণের সহযোগিতা পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন ধরণের সহায়তা না পেয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তালা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে কল দিয়েছিল পরে আমি বলেছি ভিসি স্যারের অনুপস্থিতিতে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ডাকসুর অভিভাবক ট্রেজারার স্যার, তার সাথে কথা বলে সমাধান করো। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।


সর্বশেষ সংবাদ