০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:১৫

অধিকার চেয়ে দাঁড়িয়েই আছেন ঢাবি শিক্ষক!

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যায়িত করে আদালত রায় দিয়েছেন। তবে এখনো ক্লাসে ফিরতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী। ক্লাসে ফেরার দাবি জানিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চলেছেন তিনি।

জানা গেছে, ক্লাসে ফেরার সুযোগ দেয়ার দাবিতে এভাবে অবস্থান কর্সূচি পালন করছেন ড. রুশাদ ফরিদী। তার ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আমি শিক্ষক, আমাকে ক্লাসে ফিরে যেতে দিন’। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্রমেই সমালোচনা বাড়ছে।

আজ ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ড. রুশাদ ফরিদী। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। মাঝে মাঝে সিঁড়িতে ক্লাসও নেব। আমার দাবির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমাকে ক্লাসে ফিরতে না দেওয়া হলে তা অবমাননা হবে। চলতি সপ্তাহেই হয়তো রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাব। তখন এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে তবে ক্লাসে ফিরতে না পারলেও সিঁড়িতে ক্লাস নেয়া শুরু করেন ড. রুশাদ ফরিদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিঁড়িতে গত রোববার তিনি ক্লাস নেয়া শুরু করলে তাতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে ওই ক্লাসের আয়োজন করা হয় বলে জানা গেছে।

ক্লাস নেয়ার বিষয়ে ড. রুশাদ ফরিদী বলেন, ‘ক্লাস নেয়ার প্রস্তাব আসলে আমার ছাত্রদের পক্ষ থেকে এসেছে। আমাকে একটা ক্লাস নিতে দেওয়া হচ্ছে না যার কারণে আমাকে সিঁড়িতেই ক্লাস নিতে হলো। শিক্ষার্থীরা যদি চায়, তাহলে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

পড়ুন: সিঁড়িতে বসেই রুশাদ ফরিদীর পরিসংখ্যান পাঠ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা!

এর আগে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে এক ইভেন্ট পোস্টে সিঁড়িতে ক্লাস নেবেন বলে জানান ড. রুশাদ ফরিদী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ক্লাসে ফিরতে না পারলেও ক্লাসের বাইরে সিঁড়িতে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। উদ্যোগী ছাত্রদের অনেক ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর এক সপ্তাহ পর ১৯ জুলাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন তিনি।

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বাধ্যতামূলক ছুটির বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও বিভাগে ফিরতে না পেরে গত চার দিন থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এই শিক্ষক। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই এবার সিঁড়িতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।