০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৩

ডাকসুর প্রাক্তন ভিপি-জিএসদের কাউন্সিল করার প্রস্তাব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) প্রাক্তন ভিপি, জিএস নিয়ে ‘কাউন্সিল অব এক্স ভিপি-জিএস অব ডাকসু’ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ প্রস্তাব দেন।

এছাড়া ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে লেজুড়বৃত্তি ছাত্র ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা বলেছেন সাবেক ছাত্রনেতারা। তারা ছাত্র সংগঠনগুলোকে স্বাধীন রাখার পক্ষে মত দেন এবং নির্বাচিত ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। সাবেক ছাত্রনেতারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি ছাড়া জাতীয় রাজনীতি হয় না।

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কথা বলেন।

সঞ্চালকের ভূমিকায় সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতির অনেক ঐতিহ্য আছে। আমরা ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নই। তবে লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে।’

সুজনের পক্ষ থেকে ছাত্ররাজনীতিতে সুস্থতা ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধা-যোগ্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ, রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য, শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা, ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা, নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

ছাত্র সংগঠনগুলোকে সঠিক জায়গায় দাঁড় করাতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে বাধ্যতামূলক করার কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতিকে যদি কলুষমুক্ত করতে হয় তাহলে জাতীয় রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করেই তা করতে হবে।

ছাত্ররা গণতন্ত্রের আন্দোলনের ভ্যানগার্ড উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সত্যের পক্ষে তারুণ্যের থাকতে হবে। এই দেশে এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের আন্দোলনের ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্ররা। ন্যায়ের সংগ্রামে ছাত্রদের আরও বেশি করে যুক্ত হতে হবে। জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্রদের এখন বেশি করে যুক্ত করা দরকার।

জাতীয় রাজনীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা না জড়ালে দেশ কীভাবে এগোবে প্রশ্ন রেখে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক বলেন, রাজনীতির নামে যে অপরাজনীতি চলে তার দায় গুটিকয়েক ছাত্রসংগঠনের। তার মধ্যে আছে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবির।