বাসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঈশা খাঁ ও ক্ষণিকা বাসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্প্রতিবার দুপুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এ কথা জানিয়েছেন।

এদিকে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

এ সময় ডাকসু নেতারা বাস হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সাথে ভবিষ্যতে যাতে এরকম কর্মকাণ্ড আর না ঘটে সেজন্য তারা শ্রমিকদের হুঁশিয়ারি দেন। ভবিষ্যতে এরকম হামলার কর্মকাণ্ড ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে তারা জানান।

মানববন্ধনের পর ডাকসু নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করে হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হামলায় সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি গত কালকে বলেছি আজকেও বলছি যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা যেখানে ঘটনা ঘটেছে ওই থানায় মামলা করব।’

প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে যাত্রীবাহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঈশা খাঁ ও ক্ষণিকা বাস আসার সময়ে টঙ্গীতে ক্ষণিকা বাস ও সাইনবোর্ডে ঈশা খাঁ বাসে হামলা করে শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা ঈশা খাঁ ও ক্ষণিকা বাসে ভাঙচুর করে করে এবং ঈশাখা বাসের ড্রাইভারকে বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে শ্রমিকরা।

মানববন্ধনে ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, রাস্তাঘাটে যেসব যানবাহন চলে তার ফিফটি পার্সেন্ট ফিটনেস বিহীন। ফোরটি পার্সেন্ট লাইসেন্সবিহীন। এই কারণে নতুন আইনে তারা যখন বুঝতেছে যে তাদের ব্যবসায় লস হবে তখন তারা এ আন্দোলনের সৃষ্টি করেছে। তারা একটি হুজুর উপরে আন্দোলন করছে। আন্দোলনের নামে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা করেছে। এটি একটি নৈরাজ্য। সেখানে আমরা ভিডিওতে দেখেছি, একজন পুলিশ সেখানে ভিডিও করছে। তিনি সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন অথচ তার দায়িত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা। তাই আমরা পরিবহন সম্পাদককে বলব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মামলা না করে তিনি যেন ছাত্রদের পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করেন আর যেন এই ঘটনা আর কখনো না ঘটে। আর যেন কেউ এরকম দুঃসাহস না দেখাতে পারে।

পরিবহন সম্পাদক শামস ঈ নোমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের উপর হামলা করা মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের উপর হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা।

সদস্য তিলোত্তমা শিকদার বলেন, আমরা আপনাদের কথা দিয়েছিলাম আপনাদের সুখে দুখে প্রয়োজনে আপনাদের পাশে থাকব। আজকে আমাদের যে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি আমাদের সে বিষয়ে একত্রিত হওয়ার কথা ছিল না। আজকে আমরা দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে একত্রিত হয়েছি। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।


সর্বশেষ সংবাদ