খাতা দেখাতে শিক্ষকের অসম্মতি: ঢাবি উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ

আশানুরূপ নম্বর না পাওয়ায় শিক্ষকের কাছে পরীক্ষার খাতা দেখতে চেয়েছেলিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই শিক্ষক সম্মত না হয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ‘পিএচটি ৬০২’ ও ‘পিইচটি ৬০৬’ কোর্সের দ্বিতীয় ইনকোর্স পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দুটি কোর্সের অসামঞ্জস্যপূর্ণ নম্বরের জন্য তাঁদের চূড়ান্ত ফলাফল হুমকির মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নয়জন শিক্ষার্থী গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাব্বির হায়দার বরাবর চার দফা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নোটিশের মাধ্যমে অধ্যাপক রউফকে শিক্ষার্থীদের খাতা দেখানোর জন্য তাগাদা দিলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। অবশেষে ১৪ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাধানে আসতে না পেরে করণীয় জানতে চেয়ে ১৭ নভেম্বর ফার্মেসি অনুষদের ডিনের মাধ্যমে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে চিঠি দিয়েছেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান।

সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর আরেকটি চিঠি নিয়েও ২৩ অক্টোবরের সিঅ্যান্ডডি কমিটির সভায় আলোচনা হয়। সেই চিঠিতে গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অধ্যাপক রউফসহ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করা হয়েছে। অধ্যাপক রউফের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগটিও সত্য বলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সভায় মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে ওষুধপ্রযু্ক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ সাব্বির হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বরে অসংগতি দেখা দিলে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। আর অধ্যাপক রউফের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থী যে অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের ব্যাপার আমাদের বিভাগে নজিরহীন হওয়ায় আগে গৃহীত কোনো পদক্ষেপের উদাহরণও আমাদের কাছে নেই।

চেয়ারম্যানের পাঠানো চিঠিটি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ফার্মেসি অনুষদের ডিনকে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সারা শামসুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগের একাধিক চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

 


সর্বশেষ সংবাদ