যে কারণে ঢাবির ক ইউনিটের ফল স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় কারিগরী ক্রটির কারণে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের একটি সেটের এমসিকিউ অংশের উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুল পরিলক্ষিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী সাক্ষরিত এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়, কারিগরী ত্রুটির কারণে একটি সেটের MCQ অংশের উত্তরপত্র মূল্যায়ণে কিছু ভূল পরিলক্ষিত হয়েছে। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এমতাবস্থায়, উপাচার্য সঙ্গে আলােচনা করে ঘােষিত ফলাফল স্থগিত করা হলো। সংশােধিত ফলাফল দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নতুন করে যাচাই হলে আরও কিছু শিক্ষার্থী পাস করতে পারে। ভুল সংশোধন হলে কারও মেধাক্রম উপরে এলে আসবে। তার ন্যায্যটা সে পাবে। আমাদের প্রোগ্রামের কারণে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তাহলে প্রোগ্রাম সংশোধন করলে সবার ফলাফল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক হয়ে যাবে।’

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার একমাস পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে অসামঞ্জস্য ও ভুল ফল প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। এজন্য ফলাফল বাতিল করে পুনরায় খাতা মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে অনেক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। এর প্রেক্ষিতে ফলাফল স্থগিত করে ঢাবি প্রশাসন।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, এবছর ‘ক’ ইউনিটে সমন্বিতভাবে পাসের হার মোট পরীক্ষার্থীর ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী অংশে (এমসিকিউ) পাস করেছেন ২৫ হাজার নয়শত ২৭ জন। আর বহু নির্বাচনী ও লিখিত অংশে সমন্বিতভাবে পাশ করেছেন ১১ হাজার দুইশত সাতজন পরীক্ষার্থী।

এবছর ‘ক’ ইউনিটের এক হাজার ৭৯৫ টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৮৮ হাজার নয়শত ৯৬ শিক্ষার্থী। তন্মধ্যে ৮৫ হাজার আটশত ৭৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং মোবাইলে ফলাফলে অসামঞ্জস্য থাকার অভিযোগ তুলেছেন অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক। এজন্য ফলাফল বাতিল করে পুনরায় খাতা মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

 


সর্বশেষ সংবাদ