ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করেছে

  © টিডিসি ফটো

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতাদের পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে চাচ্ছেন বিশিষ্টজনেরা। শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই এর পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। চলমান এ পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। তবে সামগ্রিক ছাত্ররাজীতি বন্ধের পক্ষে নেই ডাকসুর এই নেতা।

এক ফেসবুক লাইভে এসে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্ররাজনীতি এদেশে কখনো কোনো খারাপ কিছু বয়ে আনেনি। বরঞ্চ যারা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক দাসত্বের রাজনীতি করেছে, ক্ষমতাসীন দল বা রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে তারাই ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। তাদের সন্ত্রাসনির্ভর ছাত্ররাজনীতি, অপরাজনীতি, দলীয় দাসত্ব বা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত।

নুরুল হক বলেন, মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে, তবে এটা সামগ্রিক ছাত্ররাজনীতি না, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের ক্যাম্পাসে যে দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষ, এ কারণে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্ররাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ডাকসু ভিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন যে তারা ক্ষমতা পেয়ে মনস্টার (দানব) হয়ে গেছে। সুতরাং আজকে তাদের (ছাত্রলীগ নেতাদের) রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সামগ্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতি নয়।

এ সময় বুয়েটের রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে ভিপি নুর বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও বলেছে, সামগ্রিক ছাত্ররাজনীতি নয়, তারা সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। বুয়েটে ছাত্রলীগই সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতো। সুতরাং তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়েছে, সামগ্রিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়নি। তারপরও বুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলবো যে, প্রশাসন চাপের কারণে ছাত্ররাজনীতি হয়তো বন্ধ করেছে কিন্তু এটা কোনো সুদূরপ্রসারী কার্যকর সমাধান নয়।


সর্বশেষ সংবাদ