দখলদারিত্বের অবসান ও বৈধ সিটের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে সকল ধরনের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে বৈধ সিট নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর একটার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি মানববন্ধন করে এই দাবি জানান তারা। ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সজিব বলেন, ‘বৈধ সিট ন্যায্য অধিকার। প্রক্টর, ভিসি শিক্ষকের চেয়ে রাজনৈতিক কর্মীর ভুমিকা বেশি পালন করেন। ঢাবিকে পুতুলে পরিণত করেছেন তারা। প্রক্টর, ভিসি সব কিছু দেখেও লেজুড়বৃত্তিতে নিমিত্ত।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আবরার হত্যাকান্ড বুয়েটের কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি পুরো বাংলাদেশের নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ। আবরার হত্যা হাফিজ, আবু বক্কর হত্যারই প্রতিফলন। প্রোগ্রামে জনবল পাবে না বলেই ছাত্রলীগ গেস্টরুম, গণরুম বন্ধ করতে চায় না।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইশরাতুল জাহান নিশি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি স্বাধীনচেতা মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে। কিন্তু সেই পরিবাশ পাচ্ছি কই? আমরা আমাদের অধিকার পাচ্ছি না। ভয়ে কথা বলতে পারিনা। ব্যক্তিস্বাধীনতায় কেন বাধাগ্রস্থ হব? বুয়েটে যদি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে পারে তাহলে আমরা কেন আমাদের অধিকার বৈধ সিট পাব না।’


ইংরেজি বিভাগের প্রথম শিক্ষার্থী শাহজাহান তানিম বছরের শুরুতে তার হলে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, 'একটি সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নাকি শেখাবে আমাদের ম্যানার? যারা হত্যা আর খুনের রাজনীতি করে বেড়ায়, যারা গুলি করে মানুষ মারে, যারা রড দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারে, যারা হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা শেখাবে ম্যানার? তারা ম্যানারের নাম করে যা শেখাবে তা হচ্ছে কিভাবে মানুষ মারতে হয়, কিভাবে হত্যা করতে হয়। এসময় তিনি আবাসিক হলগুলোতে বৈধ সিট নিশ্চিতের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।

মানববন্ধন মে শিক্ষার্থীরা বৈধ সিট নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। সেগুলো হলো- প্রথম বর্ষ থেকে প্রশাসন কর্তৃক বৈধ সিট বরাদ্দ দেওয়া, গেস্টরুম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা, অবৈধ সিট দখলদারিদের অবিলম্বে হল ত্যাগে বাধ্য করা, রাজনৈতিক গণরুম বাতিল করা, সিট বরাদ্দে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, পলিটিক্যাল রুমের নামে রুম দখল বন্ধ করা।


সর্বশেষ সংবাদ