প্রথম দিনই ঢাবিতে বেহাল দশায় ‘ডিইউ চক্কর’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় বহুল প্রতীক্ষিত জো-বাইক সেবা ‘ডি ইউ চক্কর’। কিন্তু একদিনেই শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষিত সেই জো বাইকের বেহাল দশা করে ফেলেছেন অনেকে।

অনেক প্রতীক্ষার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০/২৫ বাইসাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনা হয়। এর কয়েকদিন পর থেকেই জো বাইক সেবা চালু হলেও বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে জো বাইক ‘ডিইউ চক্কর’। ডাকসুর উদ্যোগে পরিবহন সম্পাদক শামস ই নোমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান একশোটি বাইসাইকেল দিয়ে এই সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় ডাকসু’র ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানী সহ ডাকসুর অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হলেও বুধবার উদ্বোধনের পর থেকেই চোখে পরার মতো শিক্ষার্থীরা জো বাইক চালানো শুরু করেন। বুধবার বিকেল থেকেই ছাত্র-ছাত্র নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীরাই অনেক উল্লাস নিয়ে ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে জো বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী বেপরোয়াভাবেই জো বাইকগুলো চালাচ্ছেন। অনেকে তাদের বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থী যারা বাইসাইকেল চালাতে পারেন না, তারাও বাইসাইকেল চালানো শিখার কাজে ব্যবহার করছেন এই জো বাইক। অনেকে তাদের বান্ধবীদেরও চালানো শিখাচ্ছেন জো বাইক দিয়ে। এছাড়া অনেকেই তাদের বান্ধবীদের জো বাইকে তুলে নিজে হেঁটে হেঁটে চালানো শিখাচ্ছেন বা জো বাইক চড়াচ্ছেন।

এছাড়া, অরেক শিক্ষার্থীদেরই দেখা গেছে রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে এমনকি অনেকে খোলা রাস্তায়ই পার্কিং করে রাখেন জো বাইক। অনকেই আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরেও ঘুরতে যান এই জো বাইক নিয়ে যদিও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে জো-বাইক নিয়ে যাওয়া অনুমোদিত নয় বলে জানিয়েছেন ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক শামস ই নোমান।

এদিকে কিছু শিক্ষার্থীদের এমন দায়িত্বহীন কাজ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক অফিসিয়াল গ্রুপে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকেই এসব কাজকে দায়িত্বহীন ও অপরিপক্ক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

জো বাইকের একজন কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত দশটি সাইকেল ভেঙে ফেলেছে শিক্ষার্থীরা। সাইকেল যত্রতত্র রাখার কারণে চোরেরা সাইকেলের বেল খুলে নিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা খুব আশা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সেবা চালু করেছি। এর আগেও জাহাঙ্গীরনগরে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে আমাদের সেবাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।

এসব বিষয়ে জানতে ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক শামস ই নোমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয় সম্পর্কে তিনি এখনো অবগত নন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘কারা এই কাজ করেছে, এটা আমি এখনো জানি না। তবে কারা এই কাজ করেছে সেটা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ