অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখে ছাত্রলীগের শোকর‌্যালি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স আটকিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীর হত্যার শোকর‌্যালি করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টিএসসি এলাকায় মুধর ক্যান্টিন থেকে বের করা শোকর‌্যালিতে আটকে পড়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল গামী অ্যাম্বুলেন্সটি।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স আটকানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি আটকে থাকে, তাহলে হয়তো জ্যামে আটকে গেছিল।

এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে শোকর‌্যালি বের করেছে ছাত্রলীগ। শোকর‌্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত শোকর‌্যালিতে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা শহরের অন্যান্য শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

শোকর‌্যালির নেতৃত্ব দিছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত। সারিবদ্ধভাবে নেতাকর্মীরা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেছে। বেলা ১২টায় পদযাত্রাটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয় এরপর সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য হয়ে তারা এখন ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় পদযাত্রা।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে রোববার স্ট্যাটাস দেন আবরার। ওইদিন রাত ৮টার দিকে আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে শেরেবাংলা হলের টর্চার সেল নামে পরিচিত ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে শেরেবাংলা হলের একতলা ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় আবরারকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।


সর্বশেষ সংবাদ