ঢাবির ‘ক’ ইউনিট: সহজ প্রশ্নের কঠিন উত্তর ভর্তিচ্ছুদের (প্রশ্নসহ)
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১৮ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৩৮ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের অধীনে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষা কোন জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। ভর্তি জালিয়াতির কোন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তবে, এবারের ভর্তি পরীক্ষা সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। প্রশ্নপত্র সহজ হলেও সময়ের জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা লিখিত অংশ লিখতে পারেনি। ফলে তাদের নিকট সহজ প্রশ্নও কঠিন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হাবিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র সহজ হয়েছে। তবে সময়ের জন্য লিখিত অংশ অনেকে লিখতে পারিনি।’
বিক্রমপুর থেকে আসা শিক্ষার্থী হাফিজ বলেন, ‘পরীক্ষা মোটামুটি ইজি হয়েছে। রিটেন সাইড একটু হার্ড হয়েছে। তবে, আমি আশাবাদী।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার সকালে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে মোট ৮৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার হল পরিদর্শন করলাম। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথেও কথা বলেছি । শিক্ষার্থীরা বলল, প্রশ্নের গুণগত মান ভাল। প্রশ্নে ভুলভ্রান্তি এখনো তাদের চোখে পড়েনি। এবার ৮৯ হাজার শিক্ষার্থী প্রায় ১৮শ’ আসনের বিপরীতে পরীক্ষার জন্য আবেদন করে।’
তিনি আরো বলেন, এবার নতুন যে সংস্কার সেটিও আছে । লিখিত পরীক্ষা নিয়েই এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । কোথাও থেকে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত খবর আমরা পায়নি। এটা একটা ভাল দিক। আশা করি, সব কিছু সুষ্ঠু হবে আর সংস্কার করে স্বচ্ছ পরীক্ষা নেওয়া আমাদের যে লক্ষ্য সেটিও সমন্বিত থাকবে।’
এসময় জালিয়াত রোধে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর এটার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো, বিগত সময়ে যত অশুভ চক্র ছিলো ,অসাধু পন্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া ছিলো, জালিয়াতি ছিলো সেটার মূলোৎপাঠনের দৃঢ প্রত্যয় আমরা ২০১৭ সালে করেছিলাম এর পরে গোয়েন্দাদের সহায়তায় বিপুল সংখ্যককে চিহ্নিত করেছি যারা বিভন্ন সময় জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববদ্যিালয়ে ভর্তি হয়েছিল। তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।’
এর আগে, শুক্রবার সকাল ১০টায় মোট ৮৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে। এ বছর ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৭৯৫টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৯৫৫ জন। প্রতি সিটের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করেছেন ৪৫ জন।
পরিক্ষার কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা গত রাত থেকে অ্যালার্ট ছিলাম। সকল ধরনের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করেছি। তবে, পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি।’