চিরকুটে ভর্তির খবর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে: ঢাবি প্রশাসন

গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় উপাচার্যের চিরকুটে ছাত্রলীগের ৩৪ জন নেতার ভর্তি হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কতিপয় দৈনিকে দুদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে ‘মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট’ প্রোগ্রামে কথিত ‘চিরকুটে ভর্তি’ বিষয়ে প্রকাশিত একটি খবরের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। খবরটির মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’

‘প্রকৃতপক্ষে উপাচার্য কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এ ভর্তির জন্য কোন শিক্ষার্থীকে কোনো ‘চিরকুট’ বা কোনো নির্দেশনা কখনো কাউকে দেননি, দেবার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট নিয়মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করেন। তাই উপাচার্যকে আবর্তন করে অবান্তর, অসত্য, দায়িত্বহীন বক্তব্য ও তথ্য প্রচার না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হলো।''

প্রসঙ্গত, গত রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে, গত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন।

তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রলীগ নেতারা উপাচার্যের সই করা চিরকুট ও অনুষদের ডিনের সহায়তায় নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হন তারা।

নির্বাচন করতে আগ্রহী এই ৩৪ জনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সম্পাদক ও সদস্য পদে নির্বাচনে আট জন অংশ নেন, বিজয়ী হন সাতজন। এ ছাড়া দু’টি হল সংসদের ভিপি পদে অংশ নেন দু’জন। এর মধ্যে একজন নির্বাচিত হন, অন্যজন পরাজিত হন। আরেকজন ছিলেন ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য।


সর্বশেষ সংবাদ