‘নিজেদের স্বার্থে কাশ্মীর আযাদীর সংগ্রামে সংহতি জানানো অনিবার্য’

  © টিডিসি ফটো

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জম্মু-কাশ্মীরের এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বার্থে কাশ্মীরের আযাদীর সংগ্রামের সাঙ্গে সংহতি জানানো অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক আলতাফ পারভেজ।

আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাশ্মীরের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কর্তৃক সিনেমা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কাশ্মীরের আযাদীর সংগ্রামের সাথে বাংলাদেশ সাংবিধানিক ভাবে যুক্ত হওয়াটা ন্যায্য। আমাদের সংবিধানে আছে, পৃথিবীর যেখানে কোন নির্যাতিত, নিপীড়িত সংগ্রাম হবে তার সাথে বাংলাদেশ সংহতি জানাবে।

নিজেদের প্রয়োজনে সংহতির বিষয়ে তিনি বলেন, কাশ্মীর, সিকিম, ভুটান এই অঞ্চলগুলোর অভিজ্ঞতা বলছে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকার জন্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ফলে এই দেশগুলোর নিজেদের স্বার্থে কাশ্মীরের আযাদীর সংগ্রামের সাথে সংহতি জানানো অনিবার্য।

কাশ্মীরের সঙ্গে সংহতির জায়গা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে মিছিল করেছে এবং সিনেমা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে এটি একটি অগ্রসর কর্মসূচি। এরসঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেন কলামিস্ট ও গবেষক আলতাফ পারভেজ।

একই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি (সহ সভাপতি) নুরুল হক নূর বলেন, ডাকসু সবসময় সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, বাংলাদেশের মানুষ বা রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা ঔপনিবেশিকবাদ বর্ণবাদ এগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত মানুষের পক্ষ অবলম্বন করেছে। সুতরাং সাংবিধানিক জায়গা থেকেও আমরা নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।

ভারতে প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন এর সুষ্ঠু সমাধান করে। একই সঙ্গে তিনি কাশ্মীর বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখানে যেন বসনিয়া বা মিয়ানমারের মতো জাতিগত নিধনের চেষ্টা না করা হয়। সেজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব রয়েছে যে, এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং ওয়াকিবহাল থাকা।

এদিন সন্ধ্যায় কাশ্মীর সংকট নিয়ে সিনেমা প্রদর্শনীর আয়োজন করে জোনাকি গলির কারখানা নামক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। কাশ্মীর সংকট সমস্যা নিয়ে তারা দুটি সিনেমা প্রদর্শন করে।

সিনেমা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি (সহ সভাপতি) নুরুল হক নূর, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আবু রায়হান খান, ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক উলুল উমর অন্তর, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আহনাফ আতিক অনিক, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম শিহাব রেওয়াজ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আলমগীর হাসান সুজনসহ আরো অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ