স্বর্ণপদকসহ বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৭ ছাত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে স্বর্ণপদক শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে স্বর্ণপদক শিক্ষার্থীরা

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি স্বর্ণপদক, বৃত্তি প্রদান ও স্মারক বক্তৃতা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ ও ট্রাস্ট ফান্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে ‘কুসুমিত ইস্পাত: বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী হওয়ার পেছনে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনন্যসাধারণ ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে তিনি পরামর্শ, সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে সকল কাজে সহযোগিতা করে গেছেন। বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের ছাত্রীদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান স্মারক বক্তৃতায় বঙ্গমাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে যে মানবিক কুসুম-কোমলতা এবং কর্তব্য নিষ্ঠা পরিলক্ষিত হয়েছে তার উপর বিশদভাবে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে তার আত্মজীবনী লেখানো এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ সময়ে সেই পাণ্ডুলিপি দখলদার সামরিক জান্তার কব্জা থেকে উদ্ধার করা বঙ্গমাতার এক সাহসিক ও বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলীয় কাজ।

অনুষ্ঠানে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সীমা আক্তারকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের আরো ৬ জন ছাত্রীকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল মেধা বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), সম্পা দাস (সংস্কৃতি), মীম জাহান তন্বী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), তাসনিম মোশারফ (ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট) এবং ফারহানা আক্তার (ভূগোল ও পরিবেশ) ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে প্রকাশিত স্মারক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. শাহানা নাসরীন।


সর্বশেষ সংবাদ