খাবারের পরিবর্তে শিক্ষা উপকরণ দিন

  © টিডিসি ফটো

গতকাল দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'মিড ডে মিল' নামে সরকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। যার ফলে এখন থেকে সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুরে খাবার পাবে ভাত, ডাল, ডিম ও কলা।

আমি এটার ঘোর বিরোধী, ঢালাও ভাবে সারাদেশে এই প্রকল্পের কোন প্রয়োজনীয়তা আমি দেখছি না। তবে হ্যাঁ, যে সকল এলাকা এখনো অনেক অনগ্রসর যেমন কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ইত্যাদি জেলাগুলোতে এই প্রকল্প চালু করা যেতে পারে। মোটামুটি ভাল জেলা গুলোতে এই প্রকল্পের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।

খাবারের পরিবর্তে শিক্ষা উপকরণ দিন এবং প্রয়োজনীয় মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ + মানসম্মত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন, দেখবেন শিক্ষা ব্যবস্থা এমনি উন্নত হবে।।
খাবার দিয়ে শুধু মাত্র বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়ানো সম্ভব কিন্তু শিক্ষার গুনগুন মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।

এই প্রকল্পের আরও একটা বড়সড় ফাঁকফোকর হচ্ছে দুর্নীতি। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, দুর্নীতি করার জন্যই এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।।

'মিড ডে মিল' এর নামে এখন সব বিদ্যালয়ে বাবুর্চি সহ জনবল নিয়োগ দিতে হবে। খাবার কতটা মানসম্মত এবং পুষ্টিকর হবে সেটাও দেখার বিষয়। শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ (ডেইলি) টাকার কি পরিমাণ অংশ তারা পাবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন...??

এমনও হতে পারে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে অপুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, এটি কিন্তু একেবারে অমূলক নয় কারণ আমাদের অতীত ইতিহাস তাই বলে। নিম্ন মানের খাবার পরিবেশনে আমরা সিদ্ধহস্ত। কিভাবে ১০০ টাকার জায়গায় ১০ টাকা দিয়ে কাজ সাড়াতে হয় তা আমরা ভাল জানি। তাই এই প্রকল্প নিয়ে আমার খুব বেশি ভয় হচ্ছে কারণ এর সাথে জড়িত আমার দেশের কোমলমতি শিশুরা।

এরাই আগামীর বাংলাদেশ, আর এদের দিয়ে যদি অপুষ্টির বীজ বপন করা হয় তাহলে বাংলাদেশ অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হবে। খাবার নয়, হয় তাদের জন্য শিক্ষাবৃত্তিসহ শিক্ষা উপকরণ দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করুন এবং যারা শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আছে তাদের বৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।


সর্বশেষ সংবাদ