সুমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এর আগে সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কটূক্তির অভিযোগে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন গৌতম কুমার এডবর নামে রাজধানীর ভাষাণটেকের এক ব্যক্তি। তাকে আইনগত সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের ডাক দেন।

মানববন্ধনে চার দফা দাবিতে পেশ করা হয়। দাবিগুেলো হলো-
১। ব্যরিস্টার সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও ভিত্তিহিন মামলা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
২। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যরিস্টার ‍সুমনের জীবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
৩। সোস্যা মিডিয়াতে যারা ব্যরিস্টার ‍সুমনের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪। যে আইনজীবি তার নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যরিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন তাকে অবশ্যই জাতির সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফেসবুকে ব্যারিস্টার সুমনের নামে খােলা ফেক আইডি থেকে দেয়া একটি বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। যে ফেক আইডি থেকে উক্ত বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাসটি দেয়া হয়েছে তার সাথে ব্যারিস্টার সুমনের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। গত ২৮/০৫/২০১৯ তারিখে উক্ত পেইজের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ব্যারিস্টার সুমন নিজেই একটি জিডি করেন (জিডি নং-১৭০৯)।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ফেসবুক লাইভে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন যাবত সমাজসেবায় নিযােজিত রয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে ২৬টি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে আলােড়ন সৃষ্টি করেছেন। নিজের কর্মগুণেই তিনি আজ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হযেছেন। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল প্রতিনিয়তই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। দেশবিরােধী একটি কুচক্রীমহল তাঁর নামে বিভিন্ন ফেক আইডি খুলে দেশের জনমানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সৎ ও নির্ভীক ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গতকাল মামলায় ছিল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের একটি প্রতিচ্ছবি। ব্যারিস্টার সুমন দেশের গণমানুষের সাথে যে ভালােবাসার বন্ধন তৈরি করেছেন তা একরকম মিথ্যা মামলা দিয়ে লুকেয়ে রাখা যাবে না।

এ বিষয়ে রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য বলেন, আজ আমরা এই পবিত্র রাজুর ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি সুমন ভাইয়ের জন্যে। আমাদের দেশ কতটুকু পিছিয়ে আছে তা সুমন ভাই তার লাইভের মাধ্যমে আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ভাল কাজ করলে অনেক সহ্য করতে পারে না। কদিন আগে ফারুক স্যারের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা তখন তার পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নয়। পুরো বাংলাদেশের সম্পদ। তাই আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে না হলে ছাত্র সমাজ জেগে উঠবে।

সুমন মিয়া বলেন, যেখানে অসঙ্গতি সেখানে সুমন ভাই লাইভে গিয়েছেন। তিনি তার নিজ উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।কিন্তু যারা তার ভাল চায় না তারা তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের দাবি তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এর প্রতিবাদে অামরা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিব। সুমন ভাই ভয় নাই, আমরা আছি আপনার পাশে।

আজকের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ডাকসুর সদস্য রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য, ছাত্রলীগের উপ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিপ্লব, জহুরুল হলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিফাত উদ্দিন, ছাত্রলীগের উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইসতেয়াক আহমেদসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ