ঢাবির ফল প্রকাশ, সাত কলেজের অর্ধেক শিক্ষার্থী ফেল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০১৮ সালের বি.এস.এস (অনার্স) প্রথম বর্ষের অর্থনীতি পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মােঃ বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফলে অর্থনীতি বিষয়ে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছে। সোমবার অর্থনীতি বিষয়ের ফলাফল সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে সাময়িকভাবে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়।

পরীক্ষায় সামগ্রিক পাশের হার ৪৫.৯৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২শ ৯৯ জন। যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১২শ ৯৪ জন। এদের মধ্যে পাশ করেছেন ৫শ ৯৫ জন শিক্ষার্থী। পাঁচজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে।

এর আগে দুপুর ১২টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে বাধা দিলে রাস্তা থেকে সরে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা ২০১৭-১৮ শিক্ষবর্ষের। ছাত্র-ছাত্রীরা সরে গেলে ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রসঙ্গত, সেশনজট, গণহারে ফেল, নিজস্ব প্রশাসনিক ভবন, রুটিন প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে কিছুদিন পরপরই আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত ৬ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর পরেরদিন তাদের দাবি আদায়ে ঢাবি প্রশাসন আশ্বাস দিলে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেন। দুই বছরের বেশি সময়ের পরও সাত কলেজের সংকট কাটেনি। ফলে চরম হতাশা নিয়ে শিক্ষাজীবন পার করছে এসব কলেজের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। এগুলো হচ্ছে-ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই নানা সংকট লেগেই আছে এসব কলেজের। ফলে লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে তারা কখনও পরীক্ষার রুটিন, কখনও ফলের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও শাহবাগের মোড় অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তিতুমীর কলেজের আবু বকর সিদ্দিক নামে এক শিক্ষার্থী চোখও হারিয়েছে। তবুও সুফল পায়নি সাত কলেজের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর। তাই বারবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঢাবি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলায় তারা চরম হতাশা নিয়ে শিক্ষাজীবন পার করছে।


সর্বশেষ সংবাদ