প্রাথমিক শিক্ষকদের বছরজুড়ে বদলি ও হোস্টেল নির্মাণসহ নানা প্রস্তাব

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকগণ তাদের মতামত প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। রোববার থেকে শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। ওই সম্মেলনে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঁচ দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত সচিবদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা নেবেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এছাড়া রাষ্ট্রতির সঙ্গে বরাবরের মতই সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নেবেন ডিসিরা। নতুন করে প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন ডিসিরা। এছাড়া তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক হবে ডিসিদের।

জেলা প্রশাসকদের উপস্থাপিত দশ প্রস্তাব: পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়সমূহ মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে; চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক ৪(চার) বৎসর বয়স থেকে উপবৃত্তি চালু করা যেতে পারে; ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, উপজেলা শিক্ষা কমিটি পূর্ণগঠন করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করা যেতে পারে; চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, যে সকল সরকারি প্রাইমারি স্কুলকে নিম্ন মাধ্যমিক করা হয়েছে সে সকল স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন করা যেতে পারে; কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা কমিটির দায়িত্ব পুনর্বহাল রাখা যেতে পারে; বান্দরবান জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, পার্বত্য জেলাসমূহের দুর্গম অঞ্চলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করা যেতে পারে; বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব দল গঠন ও কাবিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যেতে পারে; পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, পঞ্চগড় জেলার ন্যায় দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন করা যেতে পারে; লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব হলো, বদলির নীতিমালা সংশোধন করে বছরব্যাপী বদলি অব্যাহত রাখা যেতে পারে এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক প্রস্তাব দেন, কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করা যেতে পারে এবং বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা বিভাগের নিয়মিত পরিদর্শনের আওতায় আনা যেতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ