শোভনের বক্তব্যে সিনেট অধিবেশনে হাসি-তামাশা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বক্তব্যে হাসি-তামাশার সৃষ্টি হয়েছে। বক্তব্যে শোভন দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ টানতে গিয়ে ‘পৃথিবীর বাইরে’ বলে ফেলায় হেসে উঠেন সিনেট সদস্যরা। এছাড়া তিনি প্রক্টরিয়াল বডির জন্য নিদিষ্ট পোশাকের কথা বলেন; যা অনেক আগে থেকেই চালু রয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি এ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপস্থিত সদস্যরা।

বক্তব্যে শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুধ-চিনি ভর্তুকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তুকি হিসেবে বিস্কিট, দুধ, চিনি ইত্যাদি দেওয়া হতো; আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরকম কোন ভর্তুকি দরকার। কারণ, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাম অঞ্চল থেকে অনেক শিক্ষার্থী আসে।

আরো দেখুন: হলের সব শিক্ষার্থীর ‘অনলাইন ডাটাবেজ’ চান নুর

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন তার জন্য নির্ধারিত সময়ে এসব কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি পৃথিবীর বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের যে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আছে, তারা সেই অ্যাসোসিয়েশনকে কাজে লাগায়। আপনারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করতে পারি, সেদিকে নজর দিবেন। শোভনের বক্তৃতা শুনে সিনেট সদস্যরা মুচকি হাসতে থাকেন।

আরো দেখুন: কমপক্ষে ১০ঘন্টা পড়া উচিত, রীতিমত যুদ্ধ করতে হবে

ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের নির্দিষ্ট পোশাক থাকা সত্যেও তিনি তাদের নির্দিষ্ট পোশাক প্রদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের যে প্রক্টরিয়াল বডি রয়েছে, তাদের একটি ড্রেস কোড দিলে ভালো হয়। প্রক্টরিয়াল টিমকে যদি ড্রেস দেওয়া যেত, মানুষ সেটাকে গ্রহণ করতো; শৃঙ্খলা মানার জন্য মানুষকে ভয় পেতে হবে, তাহলে প্রক্টরিয়াল টিমকে কেউ মানতেই চায় না।

আরো দেখুন: সিনেমাকেও হার মানায় রাব্বীর টিউশনির গল্প!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনেট সদস্য বলেন, এই ধরনের ছাত্র প্রতিনিধি সিনেটে আসবে বলে আমরা আশা করিনি। কারণ ছাত্র প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা আরো গঠনমূলক বক্তব্য আশা করি।

হলের সব শিক্ষার্থীর অনলাইন ডাটাবেজ চান নুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মচারীদের জন্য দশতলা-বিশতলা ভবন তৈরি হলেও শিক্ষার্থীদের গণরুম নামক কারাগারে থেকে পড়াশোনা করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, যখন ফুলার রোডে ও রোকেয়া হলের পাশে শিক্ষকদের জন্য উঁচু-উঁচু ভবন তৈরি হয়, কর্মচারীদের জন্য দশতলা-বিশতলা ভবন তৈরি হয়, তখনই আমাদের পত্রিকার নিউজে দেখতে হয় শিক্ষার্থীরা এসএম হলের বারান্দায় কিংবা গণরুম নামক কারাগারে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে পড়াশোনা করছে। এসময় তিনি প্রথম বর্ষ থেকেই মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে হলে সীট দেয়ার দাবি জানান।

আরো দেখুন: কর্মচারীদের জন্য বিশতলা, শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে গণরুম-বারান্দা!

নুরুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি হলে কোন রুমে কোন শিক্ষার্থী থাকে তার অনলাইন ডাটাবেজ থাকতে হবে এবং হলগুলো থেকে অছাত্র ও বহিরাগতদের অতিদ্রুত রেইড দিয়ে বের করতে হবে। তিনি বলেন, এ বছর থেকেই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে সীট দিতে হবে। কেননা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিরূপ ও নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারে না।


সর্বশেষ সংবাদ