বাজেট পর্যালোচনায় ইবিতে উন্মুক্ত আলোচনা সভা

  © টিডিসি ফটো

২০১৯-২০ অর্থ বছরের শিক্ষা বাজেটের উপর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্র বাণিজ্যিক ও বেসরকারিকরণ হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষকরা গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। এজন্য শিক্ষার যেটুকু বাজেট আসছে তা নষ্ট হচ্ছে। তাই আগে শিক্ষার মূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের জেষ্ট অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আব্দুল মুঈদ বলেন, ‘বাজেট করতে হলে একটি দৃষ্টিভঙ্গির দরকার আছে। এবারের বাজেটটি গতানুগতিক বাজেট। বাজেটে শিক্ষা খাতে কত দরকার ছিল এটা দেখার বিষয়। প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটাই মূল বিষয়। কিন্তু এই বাজেটে সে ধারা রক্ষা হয়নি।’

এসময় তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘সরকার বলবে টাকা নাই। অথচ কালো টাকার পরিমাণ কিন্তু প্রায় পাঁচ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া পাচার হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। যতদিন পর্যন্ত বাজেটে দর্শন বৃত্তি ভাল না হবে, ততদিন পর্যন্ত সরকারের কাছে ভাল বাজেট আশা করা যায় না।’

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিক বলেন, ‘শিক্ষা বাজেটে অর্থ বৃদ্ধি এক ধরনের শুভঙ্করের ফাঁকি। প্রযুক্তি খাতসহ অন্যান্য খাতকে এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা ঠিক হয়নি। আমরা চাই মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হোক।’

ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নুরুন্নবী ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহা তানজিম তিতিল প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অভিমত প্রদান ও প্রশ্নত্তোর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য খাতের তুলনায় গবেষণা খাতে বাজেট একদমই যৎসামান্য। একে শিক্ষা বান্ধব বাজেট বলা চলে না। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের উপরে বোঝা না চাপিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাজেট নিশ্চিত করা হোক।’


সর্বশেষ সংবাদ