ঢাবিতে সান্ধ্যকালীন কোর্স বণ্টনে স্বেচ্ছাচারিতা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সের কোর্স (ই-এমবিএ) বণ্টনে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। বিভাগের নিয়ম অমান্য করে অভিযুক্তরা কোর্স বণ্টনে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন বলে অভিযোগ একই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের।

এমআইএস বিভাগে ই-এমবিএ কোর্স বণ্টনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, গত ১৬ মে বিভাগের শিক্ষকদের সভায় (জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদের অনুপস্থিতিতে) একজন শিক্ষকের ছেড়ে দেয়া দুইটি কোর্স বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নিয়ে নেন। অর্থাৎ চলতি সেমিস্টারের কোর্স দুইটি নেয়ায় তাদের ই-এমবিএ কোর্স হলো তিনটি করে। যেখানে অন্য অধ্যাপকদের ভাগে রয়েছে দুইটি করে কোর্স। অপরদিকে সহকারী অধ্যাপকদের কোর্স সংখ্যা মাত্র ১টি করে।

জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল বিভাগীয় এমবিএ (ইভিনিং) কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোন শিক্ষক কোর্স নিয়ে পরবর্তীতে ছেড়ে দিলে ওই কোর্স বণ্টন হবে যেখানে কোর্স বণ্টন শেষ হয়েছিলো সেখান থেকে। সেই সভায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুযায়ী কোর্স দুটি পাওয়ার কথা যারা গড়ে কম কোর্স  পেয়েছেন বা কোন কোর্সই পাননি সেসব শিক্ষকদের। কিন্তু কোন ধরণের নিয়ম না মেনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকায় কোর্সগুলো নিজেদের রুটিনে নিয়ে নেন অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকরা। বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, যারা কোর্সগুলো পাওয়ার কথা তারা বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিভাগের একজন শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কোর্স বণ্টনের ক্ষেত্রে এমবিএ (ইভিনিং) প্রোগ্রাম ব্যতীত বিবিএ এবং এমবিএ প্রোগ্রামের কোর্স কোন শিক্ষক ছুটিতে গিয়ে ছেড়ে দিলে কি এভাবে বণ্টন হতো না। তথন তা কোন লেকচারার বা সহকারী অধ্যাপককে দেয়া হতো। কারণ সেখানে তেমন কোনও টাকা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের আরেক শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এমবিএ (ইভিনিং) প্রোগ্রামে ৩টি কোর্স নিয়ে এ দুজন শিক্ষক পাবেন ৪ মাসে গড়ে সাড়ে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা। আর ১টি কোর্স নিয়ে সহকারী অধ্যাপক বা লেকচারার পাবেন গড়ে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমআইএসের ইভিনিং কোর্স ডিরেক্টর অধ্যাপক কে এম সালাহ উদ্দিন বেশিকিছু বলতে রাজী হননি। তিনি বলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যারা অভিযোগটা করেছেন তারা হয়তো কোর্স বেশি পাওয়ার জন্য এটা বলছেন।

এমআইএসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হেলাল উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে অনিয়মের কিছু নেই। একজন শিক্ষক মাঝখান থেকে অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছেন। এখন উনার এই অর্ধেক কোর্স তো বিভাগের সকল শিক্ষককে বণ্টন করে দেয়া সম্ভব না।

পড়ুন: টাকায় র‌্যাঙ্কিং: বক্তব্য না বুঝে নিউজ করেছে গণমাধ্যম