হেরে যাননি ঢাবি শিক্ষিকা রুমানা, পেলেন আইনের সনদ

গত বছরের ছবি
গত বছরের ছবি

দৃষ্টি শক্তি হারানোর পরও তাকে হার মানানো যায়নি। তিনি বাস্তবতার কাছে হেরে যাননি। সকল রকমের প্রতিবন্ধতাকে দূরে সড়িয়ে তার লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছেছেন। তিনি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা রুমানা মনজুর।

২০১১ সালে স্বামীর হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অন্ধ হওয়ার ৭ বছর পর রুমানা মঞ্জুরকে শুক্রবার বার কাউন্সিল থেকে ডাকা হয়।

ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মঞ্জুর জীবনঘাতী এই আক্রমণের শিকার হয়েও শিক্ষাকার্যক্রমকে ব্যাহত হতে দেননি। 

জীবনের বৈরী সময়গুলো স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমি অর্থপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে চেয়েছি, এমন একটি জীবন যেখানে ফিরে তাকিয়ে বলতে পারি যে আমি অলস বসে ছিলাম না এবং যা হারিয়েছি তার জন্য কেঁদে কেঁদে আমি সময় নষ্ট করিনি।’

জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা এ নারী গৃহের অভ্যন্তরে সহিংসতার শিকার অন্যান্য ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য ২০১৩ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে ইউবিসি’স পিটার এ. অ্যালার্ড স্কুল অফ ‘ল’তে ভর্তি হোন।

বর্তমানে তিনি কানাডায় বিচার বিভাগের আদিবাসী আইনের ওপর জুনিয়র কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করছেন। সেখান থেকেই তিনি তার স্বপ্নের সূচনা করেন।

প্রান্তিক মানুষকে সাহায্য করতে চান জানিয়ে মঞ্জুর বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য একজন ভাল আইনজীবী হওয়া।’

উল্লেখ্য যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সময় তার ওপর এই হামলাটি ঘটে। শিক্ষাগ্রহণকালীন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখে তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি কেবলমাত্র সচেতনতা সৃষ্টি করে বুঝতে পেরেছি যে আপনি আসলেই মানুষকে উৎসাহিত করতে পারেন - যেখানে লোকেরা মনে করে যে তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার কাছে নারীদের সাহায্য করাটা গুরত্বপূর্ণ। বিশেষত যে নারীরা ঘরোয়া সহিংসতার শিকার।’


সর্বশেষ সংবাদ