গ্রাফিতি না আঁকায় তিন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করলো ছাত্রলীগ

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা খালিদ হাসান রবিন
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা খালিদ হাসান রবিন

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোটের প্রচারণায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি আঁকতে না যাওয়ায় তিন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ এক নেতার বিরুদ্ধে।

হল থেকে বের করে দেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান হাসান, আশিক মিয়া ও মেহেদী হাসান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের অন্তর্ভুক্ত শাহনেওয়াজ ভবনে থাকতেন।

চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খালিদ হাসান রবিনের বিরুদ্ধে এসব শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত রবিন ২০০৭-৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হলেও এখনো হলে থাকছেন বলে জানা যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের হস্তক্ষেপে বিষয়টা সুরাহা হয় বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবির বিভিন্ন দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকার কর্মসূচি গ্রহণ করে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার এসব শিক্ষার্থীকে গ্রাফিতি আঁকতে যেতে বলেন ছাত্রলীগ নেতা রবিন। সামনে পরীক্ষা থাকায় এসব শিক্ষার্থী রাতে গ্রাফিতি আঁকতে যাননি। পরে শুক্রবার রাতে রবিন ও তার সহযোগী আদম আব্দুল্লাহ জিম এসব শিক্ষার্থীর ‘শার্টের কলার’ ধরে ‘গালাগালি’ করেন ও হল থেকে বের করে দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত কিছু কাজ  এবং পরীক্ষা থাকায় গ্রাফিতি আঁকতে যেতে পারিনি। এছাড়া ছাত্রলীগের সব গ্রাফিতি আমরাই আঁকি। এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সম্মেলনের বিভিন্ন গ্রাফিক্সের কাজ আমরা তিন বন্ধু করেছি। শনিবার আমাদের সবার পরীক্ষা থাকলেও সারারাত বাইরে থাকতে হয়েছে।’

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিন এ বিষয়ে বলেন ‘ওরা সিনিয়রদের সাথে বেয়াদবি করছে। তাই ওদেরকে হল থেকে দুই-তিন দিন বাইরে থাকতে বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে ওদেরকে হলে ওঠানোর ব্যবস্থা করছি। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার ছাত্রত্ব নেই। সে হলে কীভাবে থাকে সেটা আমি ওই হলের ওয়ার্ডেনকে জানিয়েছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, যদি কেউ এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয় হয়।’


সর্বশেষ সংবাদ