শিবিরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ

  © টিডিসি ফটো

বগুড়ায় ইফতারের দাওয়াতে গেলে ভিপি নুরুল হক নুর সহ তার বহরের উপর হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আন্দোলনের বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বগুড়ায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন তারা। অনুষ্ঠানে ডাকসু ভিপিকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল।

রোববার বগুড়ায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আন্দোলনের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিকেলে ভিপি নুর সহ কেন্দ্রীয় নেতারা ইফতার মাহফিলে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালান। এতে নুর সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ভিপি নুরের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, উডবার্ণ পাবলিক গ্রন্থাগারের পাশের অপর একটি অডিটোরিয়ামে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে যায়। এসময় হট্টগোলের আওয়াজ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি ভিপি নুর শিবিরের ইফতার মাহফিলে যোগ দিচ্ছেন।

তিতাস আরো বলেন, আমরা নুরকে শিবিরের সাথে ইফতার করার কারণ জিজ্ঞেস করলে নুর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় তাদের সাথে আমার কর্মীদের সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। তাদের উপর হামলার খবরটি ভুয়া বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, বগুড়ার মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী কোন চক্রের স্থান হবে না। শিবিরের সাথে ইফতার মাহফিল করার কোন প্রমাণ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন ছবি আমাদের কাছে নেই। এছাড়া বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের ফটোগ্রাফারকে মারধরের অভিযোগের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তিনি।

পড়ুন: হামলাকারীদের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম (ভিডিও)

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ভিপি নুর ১৮ জনের একটি দল নিয়ে উডবার্ণ সরকারি গ্রন্থাগার চত্বরে আসেন। তবে পুলিশের লিখিত অনুমতি না থাকায় সেখানে অনুষ্ঠানের বাধা দেন সহকারী লাইব্রেরিয়ান রাজু আহম্মেদ। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলেন নুর। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি দল গ্রন্থাগার চত্বরে প্রবেশ করেন। এরপর কোনো কথা বলার আগেই বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ ভিপি নুরকে ঘুষি মারেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নুরের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। মারপিট চলার সময় ভিডিও ধারণ বন্ধের হুমকি দিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ফটোগ্রাফারকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের সদস্যরা।

এদিকে ভিপি নুরের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে তার ফোনটি রিসিভ করেন নুরের বন্ধু এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা রুবেল। তিনি বলেন, সারা দেশে চলমান সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বগুড়াতে আমাদের ইফতার মাহফিল ছিল। সেখানে অংশ নিতে ভিপি নুর, ফারুকসহ অন্যরা পৌর পার্কের সামনে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নুর, ফারুকসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

পড়ুন: ফেরার পথে নুরের অ্যাম্বুলেন্সকে ট্রাকের ধাক্কা

পড়ুন: ভিপি নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা


সর্বশেষ সংবাদ