অভ্যন্তরীণ কারণে কলসিন্দুর স্কুলে আগুন: ধারণা পুলিশের

আগুনে পুড়ে যাওয়া ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সরকারিকরণের প্রক্রিয়াধীন কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। এসময় তিনি ধারণা করেন নারী ফুটবলের আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত স্কুলটিতে অভ্যন্তরীণ কারণে অগুন দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার শাহ আবেদ হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ। তদন্ত করে খুব শিগগিরিই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় ময়মনসিংহের জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, সার্কেল এএসপি আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিকুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম উপস্থিত ছিলেন।

স্কুলের শিক্ষকরা ধারণা করছেন, স্কুল সরকারিকরণের কাজে বাঁধা দিতেই আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সনদপত্র, মেয়েদের খেলার সনদপত্র ও মেডেল, রেজুলেশন বই, কারিগরি শাখার সকল কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়। শিক্ষক উজ্জল চন্দ্র পাল ও আ. মালেকের মূল সনদপত্রও পুড়ে যাওয়া দাবি করেছেন তাঁরা।

কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রতন মিয়া বলেন, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিয়ে কেলেঙ্কারির দায়ে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এছাড়া বিদ্যালয়ে তেমন কোন ঝামেলা নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অফিস কক্ষে আগুন দিলেও বিদ্যালয়ের প্রধান গেটে তালা লাগানো ছিল। দেয়াল টপকে দুর্বৃত্তরা অফিসে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে ১৩ জন মেয়ে জাতীয় নারী ফুটবল দলের বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলছে। নারী ফুটবলারদের সৌজন্যে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ