আসামি গ্রেফতার, অনশন ভাঙলেন সেই বাবা

মেয়ের কবরের পাশে অনশন করছেন বাবা
মেয়ের কবরের পাশে অনশন করছেন বাবা  © সংগৃহীত

ভোলার বোরহানউদ্দিনের মাদরাসাছাত্রী ফারজানা আক্তারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো. মিরাজ হোসেন কামালকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার শ্যামলী এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধান আসামির গ্রেফতারের খবর পেয়ে মেয়ের কবরের পাশে ছবি নিয়ে কান্না করা অসহায় বাবা আবুল কামাল কালু অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরেছেন।

নিহত ফারজানা আক্তার উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের রাম কেশব গ্রামের আবুল কামাল কালুর মেয়ে ও স্থানীয় চর গঙ্গাপুর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

ফারজানার বাবা আবুল কালাম কালু বলেন, আসামীরা আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও নির্যাতন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে ছবি নিয়ে মেয়ের কবরের পাশে তার আত্মহত্যায় প্ররোচনাদাতাদের গ্রেফতারের দাবিতে অনশন করতে বাধ্য হয়েছি। মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে আবারও মেয়ের কবরের পাশে অনশনে বসবেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের চর গঙ্গাপুর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ছিল আবুল কামাল কালুর একমাত্র মেয়ে ফারজানা আক্তার। ২৯ আগস্ট সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামের বাড়িতে। পরদিন বোরহানউদ্দিন থানায় ৭ জনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।

এ ঘটনায় মো. মাইনুউদ্দিন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও ঘটনার ১৭ দিনেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি মো. মিরাজ হোসেন কামালসহ মিনারা বেগম, ইউসুফ, নিরু বেগম, মো. কুদ্দুস ও মহিউদ্দিন নামে বাকি আসামিরা। তাই মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে মেয়ের কবরের পাশে অনশনে বসেন আবুল কালাম কালু।

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল আমীন জানান, বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার শ্যামলী এলাকার একটি বাড়ি থেকে ফারজানাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো. মিরাজ হোসেন কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এ মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. মাইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ