প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় তরুণী কারাগারে

  © সংগৃহীত

পুলিশ প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমের টানে আসা ভারতীয় তরুণী মঞ্জুরা বেগমকে (২০) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহার আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে প্রেমের টানে কাঁটাতারের বাঁধা অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান ভারতের ওই তরুণী। তরুণী মঞ্জুরা ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুপ জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলির কন্যা। তারা চার ভাই ও এক বোন। সে ভারতে এইচএসসি পর্যন্ত লেখা পড়া করে ছেড়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ বছর আগে মামলার আসামি হয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের আসামে চলে যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস সাত্তার (২৭)। সেখানে সাত্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় মঞ্জুরা বেগমের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাত্তার দেশে ফিরে আসার পর ইমো ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে চলে তাদের সম্পর্ক। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রেমের টানে মঞ্জুরা বেগম ছুটে আসেন বাংলাদেশে। দেশে ফেরার পর সাত্তার বাহরাইনে চলে যায়। বাহরাইন সে আছে প্রায় ৩ বছর। এরমধ্যে দুই জনের প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। ইদানিং মঞ্জুরার বিয়ের প্রস্তাব আসছে। এ বিষয়ে মঞ্জুরা সাত্তারকে জানায়। পরে সাত্তার মঞ্জুরাকে তার বাড়িতে আসতে বলে। ঠিকানা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে চলে আসে ওই ভারতীয় তরুণী। সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান সীমান্ত থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে মঞ্জুরা বেগমের সম্মতিক্রমে মোবাইলে বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তবে বিনা পাসপোর্টে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসায় বিজিবি মঞ্জুরাকে আটক করে। বিজিবি মঞ্জুরার নামে বিনা পাসপোর্ট ও অনুমতি ছাড়া দেশে প্রবেশের কারণে দোয়ারা থানায় একটি মামলা করে। পরে বুধবার রাতে দোয়ারাবাজার থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, বিজিবি একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই তরুণীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ