হামলাকারীকে নাটকীয়ভাবে খুঁজে বের করার বর্ণনা দিল পুলিশ

  © ফাইল ফটো

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে তাঁর ওপর হামলাকারী একজন ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। হামলাকারী ছিলেন ইউএনওর বাড়ি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মালি রবিউল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া বক্তব্য, আলামত, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বর্ণনা সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঘটনা তদন্তে থাকা পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, র‌্যাবের দাবি করা আসাদুলকে প্রথম অবস্থায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার চার দিনই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে কিছুরই মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। চতুর্থ দিনে আসাদুল দাবি করেন, তিনি এতে জড়িত নন।

এরপর পুলিশ নজর দেয় ইউএনওর সঙ্গে কাদের দ্বিমত আছে ও কারা অসন্তুষ্ট হতে পারে এমন ব্যক্তিদের ওপর। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে সামনে আসে রবিউলকে সাময়িক বহিষ্কার করার বিষয়টি। তাকে সন্দেহের কেন্দ্রে রেখে তদন্ত শুরু করেও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ।

তবে একটি মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। তাতে বিরল থেকে ঘোড়াঘাট যাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছিল। ওই মোবাইল নম্বরটি রবিউলের কিনা নিশ্চিত হতে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে বিভিন্ন উপায়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, রবিউলই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল স্বীকার করেন, হামলায় তিনি জড়িত।

তিনি পুরো ঘটনা বর্ণনাও দিয়েছেন। ভিডিও ফুটেজে রবিউলের হাতে লাঠি দেখা যায়। অথচ হামলা চালানো হয় হাতুড়ি দিয়ে। এ বিষয়ে তিনি জানান, গভীর রাতে রাস্তায় কয়েকটি কুকুর থাকে। আক্রমণ এড়াতে লাঠি নিয়েছিলেন তিনি। পরে পুলিশের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন, রাস্তায় কয়েকটি কুকুর থাকে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের আলোকে হাতুড়ি, আলমারির চাবি, মই ও লাঠি উদ্ধার করেন তারা। তবে রবিউল জানিয়েছেন, আলামত মুছতে সেদিন যে কাপড়, টুপি ও মাস্ক পরেছিলেন তা পুড়িয়ে ফেলেছেন। এ জন্যই সিসি ক্যামেরায় তাঁর হাতে ব্যাগ দেখা যায়, যেটিতে নতুন শার্ট-প্যান্ট ছিল।


সর্বশেষ সংবাদ