দুই সপ্তাহেও রেশমাকে চাপা দেওয়া গাড়ির খোঁজ পায়নি পুলিশ

  © ফাইল ফটো

স্কুলশিক্ষক ও পর্বতারোহী রেশমা নাহারকে গাড়ি চাপা দেয়া সড়ক দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও মাইক্রোবাস এবং চালকের খোঁজ পায়নি পুলিশ। ঘটনাস্থল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যানসংলগ্ন ক্রিসেন্ট লেক রোডে কোনো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা না থাকায় বিপাকে পড়েছে পুলিশ। আশপাশের এলাকা থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এদিকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় ঘটনাটি হওয়ার পরেও এত দিনে অভিযুক্তদের ধরতে না পারায় পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে পুলিশ বলছে, দ্রুতই তারা গাড়িটি চিহ্নিত করে চালককে ধরতে সক্ষম হবে।

এর আগে গত ৭ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যানের লেক রোড ধরে বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেশমা নাহার। এ সময় একটি মাইক্রোবাস তাঁকে চাপা দেয়। এতে রেশমা মারা যান। সেদিনই তাঁর পরিবার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে।

রেশমা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার আইয়ুব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর বাড়ি নড়াইলে। তিনি ঢাকায় মিরপুর এলাকায় থাকতেন। তিনি পাহাড়ে উঠতে ভালোবাসতেন এবং দেশে–বিদেশের অনেক পাহাড় ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ ছাড়া নিয়মিত সাইকেল চালাতেন।

এ ঘটনায় রেশমাকে চাপা দেওয়া গাড়িটি ধরতে না পারায় বিস্ময় প্রকাশ করে তার বোন সালমা খানম বলেন, ‘ও যেখানে মারা গেল, সেটা একটা ভিআইপি এলাকা। সেখান থেকে যদি সিসি ক্যামেরা দিয়ে কিছু না বের করতে পারে, তাহলে অন্য সড়কগুলোর কী অবস্থা হতে পারে!’ রেশমার দুলাভাই মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ এখনো গাড়িই খুঁজে পায়নি। নতুন কোনো আপডেট তারা জানায়নি।’

এদিকে শেরেবাংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেখানে দুর্ঘটনাটা হয়, সেখানে সিসি ক্যামেরা নেই। আশপাশ থেকে ফুটেজ নিয়ে কালো রঙের একটি হাইয়েস গাড়ি রেশমাকে চাপা দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা ধরে ফেলব।’

রেশমা নাহারের মৃত্যুর পর ঘটনার বিচার এবং সাইকেল লেনের দাবি করে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বাইসাইকেল অ্যাকটিভিস্ট ও বিডিসাইক্লিস্টের স্বেচ্ছাসেবক ফুয়াদ আহসান চৌধুরী বলেন, ‘রেশমার ঘটনাটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এর বিচার দাবি করছি। মাইক্রোবাসটি দ্রুত চিহ্নিত করে এর চালককে ধরা হোক।’

 


সর্বশেষ সংবাদ