বৈরুতে বিস্ফোরণ: চোখের সামনেই মারা গেলেন রুমমেট মেহেদি

  © সংগৃহীত

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০০ বাংলাদেশি। এছাড়া নৌবাহিনীর সদস্য ২১ জন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি মেহেদি হাসান বৈরুতের আশরাফিয়া এলাকার একটি আট তলা ভবনের নিচ তলায় থাকতেন।

সেখানকারই একটি স্পেনিস সুপার শপে কাজ করতেন মেহেদি। তার সঙ্গে থাকতেন আরেক বাংলাদেশি সুজন হোসেন। একই এলাকার একটি জুস কারখানার শোরুমে কাজ করতেন তিনি। বিস্ফোরণের সময় ঘটনা স্থলের কাছাকাছি ছিলেন সুজন।

সুজন বলেন, ‘তাদের বাসা থেকে বিস্ফোরণের স্থল বৈরুত পোর্ট তিন কিলোমিটার দূরে। আমি বাসা থেকে বের হয়ে আমার কর্মস্থলে যাচ্ছিলাম। আমার রুমমেট তখন কর্মস্থলে ছিলো। আমি হেঁটেই যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা ছয়টার একটু বেশি হবে। ঠিক তখনই বিস্ফোরণের শব্দ। দূরে ধোঁয়া আর আগুনের শিখা। আমার চারপাশের ভবনের কাঁচ, জানালা সব ভেঙে পড়ছিল। আমি দ্রুত একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ থেমে গেলে একটু পর শোরুমে যাই। গিয়ে দেখি শোরুমটি ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। যানতে পারি রুমমেট মেহেদি আহত হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে মেহেদি মারা যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ভবনে আরো অনেকে ছিলেন। তাদের অধিকাংশ বের হতে পারলেও মেহেদি বের হতে পারেনি। সম্ভবত কাঁচ ভেঙে পড়ায় তার আঘাতে সে মারা যায়। মেহেদির লাশ এখন মাউন্ট লেভেন হসপিটালে আছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণের দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছি। আমি বেঁচে আছি, কিন্তু আমার রুমমেট ভাইতো মারা গেল। আমি সেই ভয়াবহ দৃশ্য ভুলতে পারছি না।’

 

সূত্র: ডয়চে ভেলে


সর্বশেষ সংবাদ