১০ হাজার টেস্ট করে ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দেয় সাহেদ

  © ফাইল ফটো

বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা টেস্টের নামে যা করেছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ১০ হাজার ব্যক্তির করোনার টেস্ট করেছে হাসপাতালটি। এরমধ্যে কোন কোনো বৈধ টেস্ট ছাড়াই ছয় হাজারের মতো মানুষের করোনা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

করোনার উপসর্গ থাকা হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও তাদের সেই অনুমতি ছিল না। কিন্তু সেই নমুনার কোনো ধরনের টেস্ট ছাড়াই নিজেদের অফিসের কম্পিউটারে বানিয়েছে ভুয়া রিপোর্ট।

র‌্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ব্যক্তির করোনার টেস্ট করায় রিজেন্ট হাসপাতাল। তার মধ্যে চার হাজার ২৬৪টি বৈধ জায়গা থেকে করানো হয়েছে। ছয় হাজারের মতো করোনার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে কোনো বৈধ টেস্ট ছাড়াই। প্রথমবার টেস্টের জন্য জনপ্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা ও দ্বিতীয়বার টেস্টের জন্য এক হাজার টাকা নেওয়া হয়।

এদিকে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা ভয়াবহ প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত প্রধান পলাতক আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।

ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাহেদকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

এর পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাবের একটি দল সাহেদকে নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আবারও র‌্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়। অভিযানে সাহেদের বাসায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকা পাওয়া যায়।

র‌্যাব হেডকোর্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য রোগীর পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতাল। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫৯টি মামলা রয়েছে।