মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা করছিল সাহেদ

বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতারের পর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সাহেদকে গ্রেফতারে কর্নেল তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাসেমসহ র‌্যাব ৬-এর একটি দলের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়। ঢাকায় আনার আগে ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পালিয়ে থাকার সময় তিনি ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করেন। বোরখা পরে নৌকায় ওঠার আগ মুহূর্তে ধরা পড়েন।

বোরখা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পালিয়ে থাকতে চুলের কালো রং করে এবং গোঁফ কেটে তিনি চেহারা বদলের চেষ্টা করেন। ভারতে পালিয়ে গিয়ে সাহেদ আত্মগোপন করতে মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় মাছের ঘেরে লুকিয়ে ছিলেন সাহেদ। ভোর পাঁচটার দিকে দেবহাটা থানার লবঙ্গপতি গ্রাম থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকাল ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমাবন্দরে এসেছে পৌঁছায়। সেখানে থেকে র‌্যাব সদর দফতরে তাকে নেয়া হয়। র‌্যাব জানায়, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের মামলাসহ ৫৯টি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাবের গাড়িবহরটি সদর দপ্তরে পৌঁছায়।

র‌্যাবের এডিজি জানায়, শাহেদ তার ব্যক্তিগত মোবাইলটি ফেলে দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শাহেদ বার বার অবস্থান পরিবর্তন করায় তাকে ধরতে সময় লেগেছে র‌্যাবের। সবশেষ আজ ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে নৌকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ