ফাঁদে ফেলে বহু শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করেছেন রিজেন্টের সাহেদ

  © সংগৃহীত

করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে প্রতারণা করার অভিযোগ গ্রেফতার হয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। তার প্রতারণার খবর সামনে আসার পর প্রতিদিনই বেরিয়ে আসছে জালিয়াতির নতুন নতুন তথ্য। এমনকি ফাঁদে ফেলে বহু শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করেছেন তিনি। র‌্যাব-পুলিশের তদন্তে সাহেদের এমন ভয়ংকর কাজের তথ্য এসেছে।

মঙ্গলবার অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘প্রতারণার জগতে সাহেদ একজন আইডল। ঠকবাজি করে কিভাবে এ পর্যায়ে আসা যায়, তার দৃষ্টান্ত সাহেদ। নতুন করে অনেক অভিযোগ আসছে। সর্বশেষ অভিযোগ এসেছে, রিজেন্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন সাহেদ।’

র‌্যাব সূত্র জানায়, রিজেন্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাল সনদ দেওয়া হতো শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে এতে। এভাবে বহু শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করেছেন শাহেদ। বিষয়টি ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। র‌্যাবের কাছে মোট ৫৬টি মামলার তথ্য আছে এবং আরো তিন-চারটি মামলা দায়েরের খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম আজ বুধবার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যাব) হাতে ধরা পড়েছেন। ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আশিক বিল্লাহ জানান, বুধবার ভোরে র‌্যাবের একটি বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ