পাওনা চাইতে গেলে টর্চার সেলে ঢুকিয়ে পেটাতেন সাহেদ

  © সংগৃহীত

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের কাছে লোকজন পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার অফিসের টর্চার সেলে ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হতো। উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অমানবিকতার শিকার ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেছেন।

এক ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে তার কাছে টাকার জন্য গিয়ে ছিলাম। টাকা চাওয়া মাত্রই তার লোকজন আমার দুই হাত ধরে থেকে ওই রুমটি দরজা বন্ধ করে দিল। এরপরই তিনি আমাকে মারধর করতে থাকেন। পাওনাদারকে নারী দিয়ে হেনস্তা করাও ছিলো তার অন্যতম কাজ। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়েও অভিযোগ করতে পারতো না।

র‌্যাব বলছে, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আয়ই ছিলো সাহেদের কাজ। কেঁচো খুড়তে গিয়ে আমরা অ্যানাকোন্ডা পেয়েছি। এতদিন প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল টাকার অর্জন করেই তিনি অবস্থানে এসেছেন। যখনই কারো সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তখন তিনি নিজেকে আর্মির মেজর, কখনো কর্নেল পরিচয় দিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, সে বিভিন্ন আইডি কার্ড তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন নিজের নাম দিয়ে প্রতারণা করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিসের পরিচয় দিয়েও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই প্রতারণা করে নানা জায়গা থেকে টাকা ধার নিয়ে আর কোটি টাকা মালিক হয়েছে।

এদিকে সাহেদের বিচারও দাবি করেছেন স্ত্রী সাদিয়া আরাবি রিম্মিও। তার প্রতারণা ২০০৮ থেকে শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান তার স্ত্রী সাদিয়া। তিনি বলেন, কয়েকবার আমি তার কাছ থেকে চলেও গেছি। কিন্তু তার অনুরোধে আবার ফিরে আসি। আমারও দুর্বলতা ছিলো সন্তানের জন্য। আমার পরিবারের কয়েকজনের সাথেও তার টাকা পয়সা নিয়ে গণ্ডগোল ছিলো। ওনার জন্য আমার পরিবারের অন্যরাও সমস্যায় আছে।


সর্বশেষ সংবাদ