প্রতারণা তার নেশা, বিচার চাইলেন স্ত্রীও

সাহেদের বিচার দাবি করেন স্ত্রী সাদিয়া আরাবি রিম্মি
সাহেদের বিচার দাবি করেন স্ত্রী সাদিয়া আরাবি রিম্মি

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ প্রতারণায় ছাড় দেননি নিজের পরিবারকেও। এটা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। পরিবারের লোকদের সাথেও প্রতারণা করতো সে। সাহেদের স্ত্রীর মুখে উঠে আসে তার এমন অপকর্মের চিত্র। সাহেদের বিচারও দাবি করেন স্ত্রী সাদিয়া আরাবি রিম্মি।

সাহেদের প্রতারণা ২০০৮ থেকে শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া। এই প্রতারকের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, কয়েকবার আমি তার কাছ থেকে চলেও গেছি। কিন্তু তার অনুরোধে আবার ফিরে আসি। আমারও দুর্বলতা ছিলো সন্তানের জন্য। আমার পরিবারের কয়েকজনের সাথেও তার টাকা পয়সা নিয়ে গণ্ডগোল ছিলো। ওনার জন্য আমার পরিবারের অন্যরাও সমস্যায় আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গত তিন-চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের ধারণা ছিলো তার পরিবর্তন আসবে। এখন যা দেখলাম তাতে আমি লজ্জিত ও দুঃখিত। তার এসব কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হওয়ায় আমি অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছি।’ সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য তাকে বার বার সুযোগ দিয়েছেন বলেও জানান সাহেদের স্ত্রী। তবে সাদিয়া আরাবি রিম্মি জানান, তিনি বা তার পরিবারের কেউ চাননি সাহেদ অপরাধ করে পার পেয়ে যান।

জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং সুবিধা পাওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরেই সাহেদ ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করতেন। এভাবে রিজেন্ট গ্রুপসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হয়ে তিনি মো. সাহেদ নামে নিজে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পরিচয় দিলেও নেতারা জানিয়েছেন, এ পরিচয়টিও ভুয়া।

রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে জালিয়াতির অভিযোগে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিষয়ে প্রতারণাসহ নানা তথ্য উঠে আসছে। গত সোমবার থেকে অনেক ভুক্তভোগী ফোন করে এবং সরাসরি র‌্যাবের কাছে তাঁর অপকর্মের অভিযোগ জানিয়েছে।

এদিকে সাহেদ যাতে বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাহেদের প্রতিষ্ঠানের পিআরও ও তার ভায়রাকে আটক করেছে র‍্যাব।


সর্বশেষ সংবাদ