সরকারি টাকা পেতে ছেলেকে দিনমজুর বানিয়েছেন চেয়ারম্যান

করোনাকালীন সরকারি ত্রাণের টাকা নিজের ঘরে নিতে ছেলেকে দিনমজুর বানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া। দুই ছেলেসহ পরিবার ও স্বজনদের ১৯ জনের নাম তালিকায় উঠিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পেয়েও গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহারি ইউনিয়ন পরিষদের করা ৫৮৮ জনের তালিকায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম মিয়া নিজের ছেলে, আপন দুই ভাই ও বোনসহ পরিবার এবং নিকট আত্মীয়দের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নিজ এলাকা ৪নং ওয়ার্ডের শিমরাইল সাতপাড়া গ্রাম থেকেই অন্তত ১২০ জনের নাম দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, ৬০ নম্বর ক্রমিকে চেয়ারম্যানপুত্র মো. আরাফাত আলম, ১৩৩ নম্বরে চেয়ারম্যানের আপন বড় ভাই ইউনুছ মিয়া, ৩২২ নম্বরে আপন ছোট ভাই ছোটন মিয়ার নাম রয়েছে। এছাড়া ২১২ নম্বরে থাকা জরিনা বেগম, ১২১ নম্বরে থাকা জোহরা বেগম, ১১৭ নম্বরে থাকা মমতাজ বেগম, ৪৯ নম্বরে থাকা কাজাল মিয়া, ৩৯১ নম্বরে থাকা সেন্টু মিয়া, ৪৭৭ নম্বরে থাকা নয়ন মনি (প্রবাসীর স্ত্রী), ১৭৯ নম্বরে থাকা রুস্তম মিয়া, ৩২৮ নম্বরে নিলুফা বেগম, ৩৪৪ নম্বরে থাকা আলেয়া বেগম, ৫১২ নম্বরে থাকা ছাত্তার মিয়া, ৫৪৪ নম্বরে থাকা সুমন মিয়া, ০২ নম্বরে থাকা রফিয়া আক্তার, ৬৩ নম্বরে থাকা লাইলী আক্তার, ১০১ নম্বরে থাকা সেলিনা বেগম, ১১১ নম্বরে থাকা গোলাম মোস্তফা ও ৫৩৫ নম্বরে থাকা আল আমিন ওই চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়। আরাফাত আলমের পাশে দিনমজুর লেখা রয়েছে।

মেহারি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া বলেন, ‘আমার দুই ছেলের মধ্যে আলমের নাম কেটে দিয়েছি। আরেক ছেলে মাসুমের মোবাইল ফোনে আসা টাকাটা আরেকজনকে দিয়ে দিয়েছি। আমার এক ভাই গরীব বলে তাই নাম তালিকায় দেই। এর বাইরে আমার আর কোনো আত্মীয়ের নাম তালিকায় নেই।’


সর্বশেষ সংবাদ