ঢাকায় গ্রেফতার বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ

গ্রেফতার হয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ। ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ক্যাপ্টেন মাজেদ দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন।

এর আগে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন- লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।

এছাড়ও এখনো ১২ জনের মধ্যে ৫ জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতকরা হলেন, কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে আত্মীয়স্বজনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত হানা দিয়ে শিশুসন্তান রাসেল, স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মামলা হয়। বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিয়েও অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৬ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে আসামি করা হয় ২৪ জনকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।


সর্বশেষ সংবাদ