বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক, মাদ্রাসাছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

  © প্রতীকী ছবি

যশোরের মনিরামপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে এক মাদ্রাসাছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। কিন্তু তার কলেজছাত্র প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। ফলে ওই ছাত্রী জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার মানুষের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশি সভার আয়োজন করা হলেও শেষ পর্যন্ত কোন সুফল বয়ে আসেনি। বর্তমানে কলেজছাত্র গা ঢাকা দিয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাছনা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে মনিরামপুর সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র শরিফুল ইসলামের সাথে প্রায় দু’বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্থানীয় এক মাদ্রাসাছাত্রীর।
একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন শরিফুল ইসলাম। এরইমধ্যে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

ছাত্রীর অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়ে শরিফুলকে বিয়ের কথা বলতেই সে অস্বীকার করে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর ছাত্রীর অভিভাবকরা শরিফুলের দারস্থ হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতেও রাজি হননি শরিফুল। একপর্যায়ে অভিভাবকরা স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী এবং হাজিরা খাতুনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হন।

ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী জানান, এলাকার গণ্যমান্যদের সাথে নিয়ে শুক্রবার সকালে শরিফুলের বাড়িতে গিয়ে শালিস সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু শরিফুল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফলে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ছাত্রীর অভিভাবকদের আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ছাত্রী জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শরিফুল শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করায় সে এখন আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শরিফুল তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।

এ ব্যাপারে পরে শরিফুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্রীর পিতা জানান, এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিতে প্রস্তুতি চলছে।
জানতে চাইলে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ