খালেদার জামিন শুনানি

সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

  © টিডিসি ফাইল ফটো

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে আজ। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেইটের প্রবেশপথে তল্লাশি করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে।

আবেদনটি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

১৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদার জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চান।

জামিন আবেদনে যুক্তিতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি দিনের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হবে বলে দিন ধার্য করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ৩০ এপ্রিল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরপর জামিনের আবেদনের ওপর এ আদালতে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে গত বছর ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ওই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আবেদন গত বছর ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এই খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এ অবস্থায় নতুন করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ