এএসপি পরিচয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!

  © প্রতীকী ছবি

পুলিশের এএসপি পরিচয়ে ফেসবুকে তরুণীর সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারক। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিলেট থেকে এক স্কুল ছাত্রীকে বরিশালে এনে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ জানুয়ারি নগর পুলিশের কমিশনারের নির্দেশে ওই ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে মামলায় বাদী হয়েছেন ভিকটিম নিজেই।

তবে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারে। আর মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত নেমে এএসপি পরিচয়দানকারী একজন প্রতারক বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। পুলিশের দাবি প্রতারককে এরইমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলা ও ভিকটিম সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শামসুল হক রাসেল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। ওই সময় সে পুলিশের এএসপি পরিচয় দেয়। পরে প্রায়ই ফেসবুকে এবং ফোনে ভিকটিমের সঙ্গে এএসপি পরিচয়দানকারী ব্যক্তির কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে ৮ মাসের কথা বলে। সময়ের ব্যবধানে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীকে সিলেট থেকে বিয়ের প্রলোভনে বরিশালে নিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি।

এরপর নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকার আবাসিক হোটেল শরীফে রেখে ভিকটিমের সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এভাবে একাধিকবার বরিশালে যাতায়াতের পর ওই তরুণী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন। বিষয়টি রাসেলকে জানালে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ অবস্থায় ওই তরুণী রাসেলকে খুঁজে বের করতে গত ২৭ জানুয়ারি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে যান এবং বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি এয়ারপোর্ট থানায় মামলা রুজু করা হয়।

পরে পুলিশ ভিকটিমকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাকে সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। শিগগিরই অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ