রাস্তায় ফেলে রাখা গরম বর্জ্যে দগ্ধ স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাস্তার পাশের সয়াবিন তেলের বর্জ্যে দগ্ধ স্কুল ছাত্র আশরাফুল হোসেন মারা গেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা মেডিকেল ক‌লেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে রূপসী এলাকার বাবুল মোল্লার ছেলে ও হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফেলে রাখা সয়াবিন তেলের বর্জ্যে পড়ে আশরাফুল (১৫) ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র নাজিম (১২) গুরুতর দগ্ধ হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটিতে ভর্তি করা হয়। ঘটনার চার দিন পর মারা গেছে আশরাফুল।

স্থানীয়রা জানান, তারাবো পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল, কাজীরপাড়া এলাকার জাফর কাজী, সাজ্জাত, নোয়াপাড়া এলাকা শাহজাহান ও রাজীব রূপচাঁদা এডিবয়েল অয়েল কারখানা থেকে গরম সয়াবিনের বর্জ্য কিনে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করেন। ইট ভাটায় বিক্রির জন্য এ সয়াবিনের বর্জ্যগুলো বেষ্টনী ছাড়াই রূপসী খন্দকার বাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে এনে রাখেন। ওই বর্জ্যইে দগ্ধ হয় দুই স্কুল ছাত্র।

নিহতের বাবা বাবুল মিয়া জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল ইসলাম গরম সয়াবিনের বর্জ্যে পড়ে যায়। আশরাফুলের ডাক-চিৎকারে বন্ধু নাজিম মিয়া (১৩) বাচাঁতে গেলে সেও বর্জ্যে পড়ে দগ্ধ হন। পরে পরিবারের লোকজন আশরাফুল ইসলাম ও নাজিম মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল মিয়ার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হাসান ও ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আফতাব ফিড কারখানার শ্রমিক প্রদীপ চন্দ্র রূপচাঁদা এডিবল ওয়েল কারখানার গরম বর্জ্যে একই স্থানে দগ্ধ হন। গত ২ ফেব্রয়ারী রুমি আক্তার নামে এক তৃত্বীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীও এ বর্জ্যে পড়ে দগ্ধ হন। রুমি আক্তার বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ