ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে কোপালো প্রতিপক্ষ গ্রুপ

  © টিডিসি ফটো

লহ্মীপুর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে দলীয় কয়েক সহকর্মী কুপিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া তুলাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘটনাটি ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

আহতরা হলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফাহাদ, ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন, মোরশেদ, রায়হান ও সাকিব। তারা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা। আহতদের লহ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের তুলাতলা এলাকার একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও তার সহকর্মীরা। এসময় তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়।

লাঠিসোটা ও ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫/২০ জনের একটি দল হামলার ঘটনাটি ঘটায়। তারা ছাত্রলীগ নেতা নোমানসহ অন্যান্যদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আধিপত্য বিস্তার ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

আহতদের অভিযোগ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর অনুসারী ও কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম মাসুদের নেতৃত্বে এম সজিব, এম তারেক, কাজী আল আমিন সহ ১৫/২০ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটায়।

এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছেলেদের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ